বরগুনার তালতলী উপজেলায় নিখোঁজের দুইদিন পর এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই গৃহবধূর নাম সুখী আক্তার (২০)।
তিনি উপজেলার করাইবাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা এলাকার বাবুল ফকিরের মেয়ে ও নকরি খেয়াঘাট এলাকার হাসান সর্দারের স্ত্রী।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের নকরি খেয়াঘাট নামক এলাকার রাস্তার পাশ থেকে নিখোঁজ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে সুখী আক্তার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও তার সন্ধান পাননি স্বজনরা।
পরে শুক্রবার দুপুরের দিকে স্থানীয়রা একটি রাস্তার পাশে সুখী আক্তারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে নিহত গৃহবধূ সুখী আক্তারের বাবা বাবুল ফকির বলেন, আমার মেয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।