র্যাংকিংয়ে ১৯তম দলের কাছে সিরিজ হারের ব্যর্থতার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে সাকিব বললেন, এটাও একটা ওয়েক-আপ কল।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে এসেও টিম টাইগার্স হোটেলে কেন সময় কাটায়, এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, প্রেইরি ভিউ স্টেডিয়ামে তাদেরকে পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়া হয়নি! তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমনভাবে হারাটা খুব দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, চলতি সিরিজটিকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে মানতে নারাজ সাকিব। তার ভাষ্যমতে, এটি যদি আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচই হয় তাহলে ক্রিকেটারদেরকে আরও অনেক বেশি ব্যাটিং-বোলিং এর সুযোগ করে দেয়া দরকার ছিল। যার কিছুই তারা পাননি। তবে, অপর্যাপ্ত সুযোগকে সিরিজ হারের অজুহাত হিসেবে দাঁড় করতেও চাননি তিনি।
অথচ দ্বিতীয় ম্যাচের আগেও বিশ্রামে ছিলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাতাসের সাথে মানিয়ে নিতে অনুশীলনের সুযোগ নেননি মোস্তাফিজরা। ব্যাতিক্রম নয় শান্তরাও। কেন এমন বিশ্রাম?
উত্তরে সাকিব বলেন, যতটুকু প্রাকটিস করার সুযোগ ছিলো তারমধ্যে একদিন বৃষ্টি ছিল। এছাড়া এই মাঠে চারটি উইকেট থাকলেও তারা মাত্র ৩টিতে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন। যেটা তাদের জন্য যথেষ্ঠ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরমধ্যে আবার একদিন সুযোগ পেয়েও মাঠে নামেননি টাইগাররা। ফলে, টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড় অর্থাৎ দুই পাশ থেকেই ঘাটতি রয়েছে বলেও সরল স্বীকারোক্তি দেন সাকিব।
বিশ্বকাপের আগে এমন হার পরবর্তী ম্যাচগুলোতে প্রভাব রাখতে পারে এমনটা স্বীকার করে সাকিব বলেন, দলের সবারই দায় আছে। নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ডিপার্টমেন্টকে দোষ দেয়া যাবে না। ম্যাচ জিততে হলে অবশ্যই সব ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে হবে। তারা সেভাবে খেলার চেষ্টা করছেন।