ঢাকারবিবার , ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. ফিচার
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড মনপুরা উপকূল

নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ৭, ২০২৪ ৪:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার তিন শাতাধিকের ওপরে ঘর- বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়।

ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে তিন জন আহত হয়। এদের সবাইকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একলক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাপা পড়ে আহত তিনজন হলেন, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম।

এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পূর্ব সোনারচর গ্রামে। কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম, ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক দুই থেকে আড়াইশত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

এই ব্যাপারে উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে দেওয়া হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।