ঢাকাসোমবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. ফিচার
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঐতিহ্যে ঘেরা বরিশাল শহরের বিবির পুকুর

তানজীল ইসলাম শুভ
অক্টোবর ১৪, ২০২৪ ১০:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরিশাল শহর তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত, আর সেই ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হলো বিবির পুকুর। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই পুকুরটি শুধু একটি প্রাকৃতিক জলাধার নয়, বরং এটি বহন করছে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতির গল্প।

প্রাচীনকালে বরিশালের অন্যতম কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে বিবির পুকুরের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। জনশ্রুতি মতে, এক কালের জমিদার পরিবারের মহিলাদের স্নান করার জন্য এই পুকুর খনন করা হয়েছিল। সেই থেকেই এর নাম ‘বিবির পুকুর’। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পুকুরটি শুধু একটি পানির উৎস হিসেবেই ব্যবহৃত হয়নি, বরং এটি হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষদের জন্য সামাজিক মিলনস্থল।

বর্তমানে বিবির পুকুরের চারপাশে ঘিরে থাকা পুরোনো স্থাপত্য ও আশপাশের প্রকৃতি এখনও প্রাচীন ঐতিহ্যের আভাস দেয়। পুকুরটি বরিশাল শহরের একান্ত অহংকার হিসেবে গণ্য করা হয়, এবং স্থানীয় মানুষজন এখানে প্রাতঃভ্রমণ, আড্ডা বা স্বস্তির সময় কাটানোর জন্য আসেন।

বরিশালের বিবির পুকুর তাই শুধু একখণ্ড জল নয়, বরং এটি ঐতিহ্যের এক নিরব সাক্ষী, যা যুগ যুগ ধরে শহরের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে :

ইতিহাস ও ঐতিহ্যেও স্বারক ‘বিবির পুকুর’। ধান-নদী-খালের নগর বরিশালের ঐতিহাসিক বিবির পুকুরের । দেশের অন্য কোন বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে এরকম জলাশয়ও নেই। এই পুকুরকে ঘিরেই ক্রমে প্রসারিত হয়েছে বরিশাল নগরী। এটি বরিশাল নগরীর অন্যতম সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য হিসেবে বিবে ঘুমচিত। নগরীর সদর রোডের পূর্ব পাশে ৪০০ ফুট দীর্ঘ ও ১৮৫০ ফুট প্রস্থের ঐতিহ্যবাহী কৃত্রিম জলাশয় বিবির পুকুরটির রয়েছে ইতিহাস।

 

সেই ইতিহাস থেকে জানা যায়, খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকরা ১৬০০  গোড়ায় বরিশালে আসেন। ১৮০০ শতকে বাংলা মুদ্রন সাহিত্যের জনক খ্যাত উইলিয়াম কেরি কিছুদিন বরিশাল ছিলেন। তখন তিনি পর্তুগিজ দস্যুদের কাছ থেকে এক মুসলিম মেয়েকে উদ্ধার করেন। তখনকার সমাজ মেয়েটিকে সমাজে আশ্রয় দিতে না চাইলে তিনি নিজেই তাকে লালন পালন করেন এবং মেয়েটির নাম রাখেন জিন্নাত বিবি। পরে এক মুসলিম যুবকের সাথে জিন্নাত বিবির বিয়ে দেয়া হয়। উইলিয়াম কেরি জিন্নাত বিবিকে জেনেট বলে ডাকতেন।

 

অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রী হাশেম আলী খানের বাড়িটি ছিল জিন্নাত বিবির বাসভবন।উইলিয়াম কেরি জিন্নাত বিবির জন্য আরও জমি কেনেন কিন্তু নিঃসন্তান জিন্নাত বিবি তা ভোগ না করে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে এই অঞ্চলের জনগণের পানির কষ্ট দূর করার জন্য তাতে জলাশয় খননের উদ্যোগ নেন। এ অনুযায়ী নগরীর সদর রোডের পূর্ব পাশে একটি পুকুর খোঁড়া হয়। তখন থেকেই পুকুরটি “বিবির পুকুর” নামে পরিচিতি লাভ করে।

 

একসময় কীর্তনখোলা নদীর সাথে এ পুকুরের দুটি সংযোগ ছিল এবং এতে নিয়মিত জোয়ার ভাটা হতো। জোয়ারে নদীর মাছ এ পুকুরে চলে আসত। সংযোগ দুটির একটি বরিশাল সার্কিট হাউজ হয়ে মৃতপ্রায় ভাটার খালের মাধ্যমে কীর্তনখোলায় এবং অপরটি বরিশাল নগরীর গির্জা মহল্লার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিলুপ্ত খালের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর সাথে যুক্ত ছিল। কালের আবর্তে সংযোগ খাল দুইটি হারিয়ে যাওয়ায় বদ্ধ হয়ে পড়েছে বিবির পুকুর।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।