ঝালকাঠিতে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত নারীর বড় ছেলেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ও দুই পুত্রবধূকে গতকাল বুধবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বিকেলে ঝালকাঠি শহরতলির রামনগর এলাকা থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধার হওয়া নারীর নাম হাসিনা বেগম (৭৫)। তিনি একই এলাকার মৃত আনোয়ার তালুকদারের স্ত্রী। এক স্বজনের দাবি, এক ছেলে ও দুই পুত্রবধূ মিলে হাসিনা বেগমকে হত্যা করে লাশ একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ আটক তিনজন হলেন নিহত হাসিনা বেগমের বড় ছেলে শাহ আলম (৫০) ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪০), প্রবাসী ছোট ছেলে সুমনের স্ত্রী ময়না বেগম (৩০)।
নিহত হাসিনার ভাতিজা ওমর ফারুক বলেন, হাসিনা বেগমের তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে সুজন স্ত্রীসহ পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। ছোট ছেলে সুমন প্রবাসে থাকেন, তবে তাঁর স্ত্রী ময়না বেগম বাড়িতে থাকেন। হাসিনা বেগম শারীরিকভাবে অচল ছিলেন, ক্রাচে ভরে করে চলাফেরা করতে হতো। তাঁকে প্রতিনিয়ত বড় ছেলে শাহ আলম এবং দুই পুত্রবধূ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গতকাল বিকেলের কোনো এক সময় তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়। যিনি ক্রাচ ছাড়া চলাফেরা করতে পারেননি, তিনি কীভাবে গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।