বরিশালের হিজলায় দীর্ঘদিন ধরে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে রশীদের মাধ্যমে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি তারা কিছুই জানেন না। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিজলা উপজেলার ট্যাক ফেরিঘাটের সন্নিকটে উপজেলা ট্যাক বাসস্ট্যান্ডের নামে প্রতিটি ট্রাক থেকে তিনশ’ টাকা, বাস, পিকআপ ও প্রাইভেটকার থেকে দুইশ’ টাকা, লেগুনা থেকে দুইশ’ টাকা, টমটম ও টেম্পু থেকে ৫০ টাকা, সিএনজি থেকে ৩০ টাকা এবং ইজিবাইক থেকে ২০ টাকা এবং ব্যাটারিচালিত ভ্যান থেকে ১০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে। এ জন্য যানবাহনের চালকদের দেওয়া রশীদের গায়ে লেখা রয়েছে ‘উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড টোল আদায়ের রশীদ। ইজারাদার শাহাবুদ্দীন বেপারী’।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানিয়েছেন, এ রুটে মাত্র দুটি বাস আসা-যাওয়া করে। ওই দুটি বাস নিয়ে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি।
পিকআপ চালক পলাশ বেপারী বলেন, আমরা পিকআপ চালিয়ে হিজলার ট্যাক ফেরি পার হয়ে মেহেন্দিগঞ্জে প্রবেশ করি। ছোট্ট পিকআপ থেকে জোর করে মনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি স্বাক্ষর দিয়ে ২০০ টাকা নিয়েছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই রুটে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না।
ট্রাক চালক অমিত মিয়া জানিয়েছেন, টোল আদায়ের নামে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক তিনশ’ টাকা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রশীদের গায়ে শাহাবুদ্দীন বেপারীর নাম ইজারাদার হিসেবে লেখা থাকলেও মূলত আরিফ হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতা তার সহযোগিদের মাধ্যমে ট্যাক বাসস্ট্যান্ডের নামে দীর্ঘদিন থেকে জোরপূর্বক টোল আদায় করছেন। কেউ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে আরিফের লোকজনের হাতে চরমভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না জানিয়ে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আরিফ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।