পটুয়াখালীর বাউফলে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্রসহ আটকৃত ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে মুচলেকাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর ২টার দিকে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া বাজারের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সিজান কাজী (২৪) ও তার ছোট ভাইয়ের নাম সিয়াম কাজী (১৯)। আটককৃত সিজান কাজী উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক। তারা একই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিজান কাজীর ছেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার (২২ মে) রাতে বাউফল উপজেলার কনকদিয়া বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে মারামারি ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির অপরাধে ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্যকে দেশি অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার পর এ বিষয়ে তথ্য নিতে গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কাউসার জানান, সিনিয়র অফিসার ছাড়া তাদের কারোরই গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি নেই। ওসির অনুমতি ছাড়া অস্ত্র বা আসামিদের ছবিও দেওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ওসি শোণিত কুমার গায়েন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের আটক করে। অপরাধীদের বয়স কম হওয়ায় এবং তারা এ ধরনের কাজ করবে না মর্মে পরিবার অঙ্গীকারপত্র দেওয়ায় তাদের সংশোধনের জন্য ছেড়ে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ বিষয়ে জানতে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী কার্যালয়ে গেলে তিনি মন্তব্য করবেন না জানিয়ে অফিস ত্যাগ করেন। সূত্র কালবেলা