কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে নবম গ্রেড এবং দশম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেট এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তৃতীয় এবং চতুর্থ গ্রেডে এখনো ৫৬ শতাংশ কোটা বহল আছে।
গত পাঁচ জন কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়ে আদালত।
হাইকোর্ট বলেছে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে সব কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে যে পরিপত্র সরকার জারি করেছে তা অবৈধ এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহিভুত।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি নাতিদের যে কোটা সুবিধা পদ্ধতি বাতিল করেছিল তা বহাল থাকবে।
এরপরেই ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনের নেমে পড়ে চাকরি প্রত্যাশী তরুণরা। প্রথমে কয়েকদিন মিছিল মানববন্ধন এর মত কর্মসূচি পালন করলেও এ সপ্তাহে তাদের শুরু করতে হয় অবরোধ কর্মসূচি যার নাম দেয়া হয় বাংলা ব্লকেড
“বৈষমিলের ছাত্র আন্দোলন” ব্যানারে আন্দোলনকারীরা শুরু করে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করলেও পরে নামেন এক দফা দাবিতে।
তাদের দাবি হলো সকল গ্রেডের অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানের উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধনের এক দফা দাবি কর্মসূচি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হয়, প্রাথমিক নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সব পক্ষকে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্তা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সাত অগাস্ট।
সাথে সাথে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন। শিক্ষকদের বলে ছাত্রদের বোঝে ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমে এসেছে কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ একযোগে হামলা করে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে আমরা শিকর আহত শিক্ষার্থীরা বলেন জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা রাজপথে থাকবো। সাথে সাথে অনান্য শিক্ষার্থীরা বলেন- আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দিবোনা।
সাথে সাথে সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করেছেন এবং তাদের উপরে ন্যাক্কার জনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষার্থী: রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।