টি-টোয়েন্টিতে ইউএসএ তথা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৯ নম্বরে। আর বাংলাদেশ এর নয় নম্বর। দশধাপ এগিয়ে থাকা দলটাকে টি-টোয়েন্টি শেখাচ্ছে সেই পিছিয়ে থাকা দলটিই। তারা ক্রিকেট খেলছেন হিসেব করলে সাত দিন। যারা কিনা বিভিন্ন দেশের বাতিল অর্থ্যাৎ সেই দেশে না চলা ক্রিকেটারদের নিয়ে করেছে একটা ক্যাম্প। সেই দলের সাথে বাংলাদেশের সিরিজ হেরে যাওয়া কল্পনাতেও যে আসে না। অথচ ক্রিকেটে বাংলাদেশ পার করে ফেলেছে কয়েকটা যুগ। দলে আছেন অভিজ্ঞতা আর যশে ঠাসা বেশ কিছু ক্রিকেটাররাও। তবে ওই যে সামর্থ্য বয়সে নয় ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর করে। যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নেই।
ব্যাটিং ব্যর্থতা ঢাকতে যখন কৌশল অবলম্বন করতে হয় তখন আর বোঝার বাকি থাকে না যে কতটা অবনমন হয়েছে দেশের ক্রিকেটের। টসে জিতে ব্যাটিং নেয়ার সিদ্ধান্তটা নির্ভর করে মাঠ আর পিচ বিবেচনায়। তবে সেখানে বাংলাদেশের যেন মুখস্থ একটা ধারণা টস জিতলেই ফিল্ডিং নিতে হবে।
মনগড়া কথা নয়। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত সাতটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ বাদ দিলে যেটা দাঁড়ায় ছয়ে। সেই ছয় সিরিজে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ১৯ টা। তার মধ্যে টস জিতেছে ১২ টা ম্যাচেই। তবে সেই ১২ ম্যাচের বিপরীতে টসে জিতে ব্যাটিং মাত্র এক ম্যাচে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রথম দু্ই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। এবার পালা ক্রিকেটের নয়া এই দলটার কাছে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জার রেকর্ড গড়া। বাংলাদেশ যেমন ক্রিকেট খেলছে তাতে অসম্ভব কিছুই নয়। তবে এই লজ্জা থেকে কীভাবে বাঁচা যায় সেই চেষ্টাটাই করতে হবে শান্তর দলের।
সিরিজ হারের পর টাইগার দলপতি জানিয়েছেন তাদের দক্ষতায় কোনো সমস্যা নেই সমস্যাটা মানসিকতায়। তবে শেষ ম্যাচে সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটা জরুরী হয়ে পড়েছে তাদের। শেষ ম্যাচে অন্তত মানসিকভাবে ফিট থেকে নিজেদের সামর্থ্যটা দেখোনোর পালাটাই এবার টাইগারদের সামনে।