ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) ত্রিমুখী শিরোপা লড়াইয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোলশূন্য ড্রয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটিকে। ম্যাচের শুরু থেকেই জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্ট করে সিটি। অন্যদিকে জয়ের ধারায় থাকতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি আর্সেনাল। কিন্তু জয় তো দূরের কথা, জালের নাগালই পায়নি কোনো দল। ফলে, ইতিহাদে ২০১৬ সালের পর প্রথম হার এড়ালো আর্সেনাল।
রোববার (৩১ মার্চ) নিজেদের ঘরের মাঠ ইতিহাদে আর্সেনালকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৭ম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় আর্সেনাল। গাব্রিয়েল জেসুসের ১০ গজ দূর থেকে নেয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বল দখলে সিটি একচেটিয়া আধিপত্য করলেও প্রথমার্ধে একটি মাত্র নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারে স্বাগতিকরা। ১৫ মিনিটে নাথান আকের কাছ থেকে একটি প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকিয়ে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি জেসুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশা বাড়ে আর্সেনালের। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনালের অর্ধেই বল ঘোরাঘুরি করেছে বেশি। তবে সিটি তেমন পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে রক্ষণে ‘বাস পার্ক’ করিয়ে রাখা গানাররা পাল্টা এক আক্রমণে গোল করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। ম্যাচের শেষ দিকে লিয়ান্দ্রো তোসার বাঁ পাশ থেকে শট নিয়েছিলেন সিটির গোলে। সিটি গোলরক্ষক স্টেফান ওর্তেগার সেটি ফেরাতে অবশ্য বেশি কষ্ট করতে হয়নি।
বাকি সময়টাও কেটে যায় এভাবেই, খুব কঠিন কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি দুই গোলরক্ষককে। পুরো ম্যাচে আর্সেনাল মোট ফাউল করেছে ২০ বার, আর সিটি ৯ বার। বলের দখলে আর্সেনালের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সিটি। ৭২ শতাংশ বলের দখল রাখাটা অবশ্য শুধু পরিসংখ্যানই হয়ে রইলো। গোলের খেলায় গোলই যে পেল না সিটি।
লিগে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করল সিটি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির আগে লিভারপুলের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। আর আর্সেনাল টানা আট জয়ের পর পয়েন্ট হারাল এই প্রথম।